পরিবেশের দোহাই দিয়ে আর কতদিন বন্ধ রাখবেন পাথর কোয়ারী জানতে চায় জনগণ
বলছিলাম কারেন্ট ওয়ার্ল্ডের এশিয়ার জরিপ অনুযায়ী এশিয়ার বৃহত্তম পাথর উত্তোলনক্ষেত্র ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীর কথা।
সিলেটের উত্তরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে অবস্থিত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী। মূলত কোয়ারী খনন হতো শীতকালে। নদী শুকিয়ে গেলে পাথর তোলার উৎসব শুরু হতো।
যেভাবে বৈশাখে ধানকাটার সময় নবান্নের উৎসব হয়
জন্মের পর এগুলোই দেখে আসছি, পাথরকে কেন্দ্র করেই আমাদের যাবতীয় পেশা। লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজির একমাত্র মাধ্যম ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী।
আমাদের অঞ্চলের শত বছরের পেশা যেটা বলা যায়। শত বছর আগে পাথরকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছিলো তারের টানেল দিয়ে 'রুপওয়ে। যারা ভোলাগঞ্জে এসেছেন। তারা হয়তো দেখেছেন নদীর উপরে লোহার টাওয়ারে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে 'রুপওয়ে' ব্রিটিশরা তারের মাধ্যমে পাথর পরিবহণ করতো ছাতকে। ছাতক থেকে পাথর যেতো বাংলাদেশের সকল রেলওয়েতে।
তারপর পাথরকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য। পাথর ভাঙার ক্রাশিং মিল, পাথর পরিবহণের জন্য গাড়ী।
এক কথায় বলতে যা বোঝায় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের এক মহা মিলনমেলা।
আমাদের রুটি-রুজির মাধ্যমটা ২০১৪ বন্ধ করে দেয় সরকার। মানুষের অনেক আন্দোলনে খুলে দিবে দিবে করেও খুলে দেয়নি।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা আসছিলো কাজের জন্যে, তারা চলে যায়।
তবুও আমাদের উপজেলার ১০-১৫ লাখ মানুষের চলার কষ্ট হয়নি। কোয়ারী বন্ধ থাকলেও নদীটা খুলা ছিলো। নৌকায় স্যালু মেশিন বসিয়ে পাইপ দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে পাথর আহরণ করা যেতো।
২০১৮-১৯ সালে পরিবেশের দোহাই দিয়ে সরকার আমাদের নদী থেকেও পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। হাইকোর্ট নদীতে ১৪৪ ধারা জারি করে যা এখনো বহাল রেখেছে।
কেনো? শত বছর পরিবেশ ছিলো না?
যারা ভোলাগঞ্জে আসছেন, যদি পাহাড়ের সামনে তাকান তাহলে দেখবেন পাহাড়ে ডিনামাইট ফিট করে সিমেন্ট তৈরীর প্রধান কাঁচামাল চুনাপাথর মানে লাইমস্টোন আহরণ করে ট্রাকে বোঝাই করে এলসির মাধ্যমে বাংলাদেশে আসতেছে।
এরা কি পরিবেশ বুঝেনা?
আমরা খুবই কষ্টে আছি, এক পোস্টে সব বুঝানো যাবেনা...
✍Muhammad Sumon
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For Comment