লিটনের ভোট দুঃখের কথা
আমি ২০১৪ সালে ভোটার হই ২০১৬ সালে প্রথম ভোট দেই এবং যে তিন জনকে ভোট দিয়েছিলাম উনারা তিন জন'ই জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন কিকন্তু উনারা প্রতিনিধি হওয়ার পরে উল্লেখযোগ্য কোনো কিছু করেছেন বলে মনে হচ্ছে না (তাই আমার ভোট দেওয়া ভুল হয়েছে বলে প্রমানিত এর জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি)
দ্বিতীয়,
সেকেন্ড টাইম স্বপ্নের ভোটের দিন কত আশা ভরসা নিয়ে গেলাম ভোট কেন্দ্রে ওমা গিয়ে দেখি ও শুনি ৩০ তারিখের ভোট নাকি ২৯ তারিখ রাতেই হয়ে গেছে এবং রেজাল্টও আউট হয়ে গেছে এবার ফর্মালিটি রক্ষার্থে দিনে শুধু লোক দেখানো বা বুঝানো হচ্ছে যে নির্বাচন হয়েছে বা হচ্ছে দেশে তার পর কেন্দ্রের চার পাশের হাব ভাব বুঝলাম বুঝে কেন্দ্রে ঢুকব এমন সময় দেখি দরজার সামনে পরিচিত একজন পায়চারি করতেছেন ভিতরে আরেক জন দাড়ানো (মামা ভাগনা) ঢুকলাম ভিতরে গিয়ে চোখ ঘুড়িয়ে চারিদিক দেখে এজেন্ট মাত্র একজন পেলাম আর ভোটার একজন পিজাইডিং অফিসারের সামনে গিয়ে দাড়াতেই আমাকে বললেন নাম কি? নাম বললাম মুহাম্মদ লিটন উনারা লিস্ট বের করে দেখেন আমার ভোট রাতেই দেওয়া হয়েগেছে মানে আমার নামের সাইডে দাগ দেওয়া আমারও বুঝতে বাকি নাই পিজাইডিং অফিসার একজন মহিলা একজন পুরুষ উনারা আমার দিকে চেয়ে কি দেখলেন তার পর একটা পেপার দিলেন পেপার নিয়ে আমি উনাদের বললাম এটা ভাঝ করে কিভাবে একটু বলে দিবেন কি? আমি জীবনের প্রথম সরকারি ভোট দিতে আসছি উনারা শিখিয়ে দিলেন গেলাম কালো ঘরে মানে পর্দার আড়ালে গিয়ে সীল দিলাম প্রিয় প্রতিকে দিয়ে ভাঝ করে বাক্সে অর্ধেক ঢুকিয়ে দিয়েছি এমন সময় একজন এসে বললেন দেখি কিসে ভোট দিয়েছ? আমি বললাম দিছি বাক্স ভর্তি থাকায় পেপার অর্ধেক ঢুকে আটকে গিয়েছিল এমন সময় উনি টান দিয়ে বের করে ভাঝ খুলে দেখলেন কিসে ভোট দিছি যখন দেখলেন উনার বিপক্ষে ভোট দিয়েছি তখন তিনি আমার দিকে হা করে চেয়ে রইলেন এই সময় আমি উনার হাত থেকে টান দিয়ে পেপার এনে আবার বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে আসি বাহিরে এর পর বাহিরের চারিদিক ঘুরে যা বুঝলাম যা শুনলাম সব কিছুই দিনের আলোর মত পরিষ্কার বাড়িতে এসে ঘরে সাওয়ার দিয়ে অল্প খাবার খেয়ে বালিশে মাথা লাগাতেই নিজের অজান্তে ঘুমিয়ে পড়লাম ঘুম ভাংলো রাত আটটায় মুখ ধুয়ে কয়েক জনকে ফোন দিলাম নির্বাচনের খবর জানতে ফোন কেটে ডাটা অন করে ফেইসবুক স্ক্রল করে দেখলাম অনেকক্ষন তার পরে ইউটিউবে গেলাম গিয়ে নিউজ গুলো দেখলাম তার পর আর কি লিখব সেটা তো পুরো বাংলাদেশ জানে,
তৃতীয়,
থার্ড টাইম যে তিন জনকে ভোট দিয়েছিলাম উনারাও জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন কিন্তু কিছুই লাভ হয় নি যেই লাউ সেই কধু তার মানে আমার ভোট দেওয়া এবারও ব্যর্থ কারণ উনারাও উল্লেখযোগ্য কোনো কিছু করেছেন বলে মনে হচ্ছে না, ( এবারও আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)
শার্ট কোট খোলে পায়জামা আর পাঞ্জাবি পরে মাথায় আবার টুপি দিয়ে উনারা দৌড়ঝাপে আছেন নির্বাচন করার জন্য জনগণকে দিচ্ছেন আশার বানী শেষ সময়ে এসে মিডনাইট ভোটে জয়ী হয়ে ভুলেই যাবেন জনগণ কে দেওয়া কথা,
এই হচ্ছে রাজনীতি দাবার ঘোড়ার মত,
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For Comment