স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে নাজিম ভাইর মনোমুগ্ধকর লেখা

 



স্থানীয় নির্বাচন একটি সুন্দর আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্র  বিণির্মানের মূল পটভূমি। 


#নাজিম উদ্দীন নাদিম কুয়েত প্রবাসী কোম্পানীগঞ্জ সিলেট।


শরৎকালের সারি সারি কাশফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর ভোরের কোমল স্নিগ্ধ বাতাসের তোড়ে ভেসে আসছে স্থানীয় নির্বাচনের গরম হাওয়া।

 ইতিমধ্যেই পাড়ার টং দোকান থেকে নিয়ে বাজারের টি-ষ্টলে গরম রং চায়ের ধোঁয়া বেরুচ্ছে! কিন্তু হঠাৎ কেন এত পরিবর্তন? কারণ সামনে স্থানীয় নির্বাচন, নিজ ইউনিয়ন ও এলাকার উন্নয়নে বিগত পাঁচ বছরের জনগণের চাওয়া পাওয়া এপিঠ/ওপিঠ পরখ করা হচ্ছে,এই হিসেব থেকে আসন্নবর্তী নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে! এমনটাই স্বাভাবিক। 


স্থানীয় নির্বাচনের আমেজ সব সময়ই সাধারণ মানুষের কাছে অন্যরকম হয়ে তাকে,কারণ গ্রামগঞ্জে এই নির্বাচনকে এক প্রকার উৎসব হিসেবে দেখা হয়,কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত দেশে নির্বাচন ব্যবস্থায় নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হওয়ার দরুন এবং দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ ও গণহারে নির্বাচন বর্জন অংশগ্রহণ না করা ইত্যাদি কারণে  সাধারণ মানুষের কাছে ঘোষিত বর্তমান সময়ের যে কোন নির্বাচন নিয়ে আগের মত তত একটা আগ্রহ দেখা যায় না তারপর ও পরিস্থিতির কারণে ভোট কেন্দ্রে মানুষ যায় এবং স্বল্প হলেও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকে। 

 

যারা সমাজপতি সমাজ ব্যবস্থা পরিচালনা করেন স্থানীয় নির্বাচনে তাদের ভুমিকা উল্লেখ করার মত, কারণ আমাদের সমাজে সাধারণত সমাজপতিদের কথা গুরুত্ব সহকারে মান্য করা হয়, এই কারণে তাদের ভুমিকা এমনই হওয়া চাই,যেন ব্যাক্তি,পরিবার, সমাজ, দল বা জাতী কোন কিছুই যেন ব্যক্তিস্বার্থে চরিতার্থ না হয় তাদের চৌকস নেতৃত্ব এনে দিতে পারে একটি আলোকিত সমাজের ভৌগোলিক চিত্র। 


 আমরা সাধারণত নির্বাচন এলেই প্রার্থী বাছাই করি, বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সব আগে ব্যাক্তি প্রার্থীর! ব্যাক্তিত্ব, শিক্ষা, সামাজিক মাপকাঠি এসব দিক যাচাই-বাছাই না করে আগে তার অর্থ আধিপত্য কেমন সেটা লক্ষনীয় হয়ে তাকে, আসলেই কি এমনটা হওয়া উচিত! একবাক্যে আমরা বলবো না" কারণ আমরা চাই আমাদের সমাজ কে নেতৃত্বদানে একজন জনদরদী জনবান্ধন জনপ্রতিনিধি" যার কাছে নেতা, কর্মী,স্বজন,আমলা থেকে কামলা দিনমজুর থেকে ধোপা ওজনের মাপকাঠিতে সমান,যিনি নিজেকে উক্ত সমাজের স্রেফ একজন সেবক হিসেবে উপস্থাপণ করবেন,যার আচরণে উটা বসায় প্রকাশ পাবে সদা নম্রতা। 


কথা হলো এমন জনপ্রতিনিধি আমরা কিভাবে বের করবো?সেজন্যে আপনার আমার সুচিন্তক ভাবনার বিকল্প নেই,আপনি হয়তো একটি ভোটের মালিক যাকে ইচ্ছে থাকে আপানার সে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চয় রাষ্ট্র আপনাকে  দিয়েছে, কিন্তু ভোটের হিসেবে আপনার সেই একটি ভোট গড়ে দিতে পারে বিশাল তফাৎ!তাই সিদ্ধান্ত নিবেন ভেবে চিন্তে,কারো কুমন্ত্রণায় প্রভাবিত না হয়ে নিজের স্বচ্ছ ভাবনায় একজন পছন্দের প্রার্থীকে বাঁচাই করুন।  

নির্বাচন এলেই আমরা প্রায় দেখতে পাই কালো টাকার ছুড়াছুঁড়ি!কিন্তু কেন জনসেবার সাথে এই কালো টাকার কি আদৌও কোন মিল পাওয়া যায়!নিশ্চয় বলবেন না!!  


আচ্ছা দরুন একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য খরচা হবে নির্বাচনী সরকারি ফি- সহ প্রচার প্রচারণায় লাখ দশেক! এরচেয়ে বেশি খরচার খ্যাত কোথায় সেটা আমি অন্তত খুঁজে পাইনা!দেখা গেলো একজন প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ব্যয়বহুল অবস্থা কিন্তু কেন! তিনিই বা কেন এত টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান হবেন? জনসেবা করবেন নিজের মেধা শ্রম ব্যয় করবেন এর সাথে আবার লক্ষ লক্ষ টাকা, নির্বাচিত হয়ে তিনি ঐ খরচা হওয়া টাকার ধান্দায় পড়বেন না এরেইবা গ্রান্টি কি?

 তখন যদি তিনি দাবি করে বসেন কোন প্রয়োজনে আমার সাথে দেখা করতে হলে এক হাজার টাকা অগ্রিম ফি- দিয়ে যাবেন!  তখন আপনার আমার  উত্তর টা কি হবে!! হয়তো আপনি একজন টাকা নেননি? কিন্তু আপনার সমাজের অন্য কেউ ত নিতে পারে? আর বিক্রিত ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহেব এমনটা বলতেই ত পারেন!আসলেই যদি তিনি ভোট কিনে নির্বাচিত হোন।

 

তাই আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হলে নিজের পবিত্র আমানত ভোটটি টাকায় বিক্রি করবো না,পাঁচ টাকার চায়ের কাপে মুখ না ভিজিয়ে,সমাজের সচেতন নাগরিকদের সাথে পরামর্শ করে একজন সৎ,যোগ্য,দক্ষ,সুশিক্ষিত জনদরদী সমাজ সেবক কে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করি, তাতে করে আপনিও যেমন উপকৃত হবেন উপকৃত হবে সমাজ ও রাষ্ট্র। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যে এলাকাকে নিয়ে ভাবেন সেই এলাকার সামাজিক,অর্থনৈতিক,যোগাযোগ ও শিক্ষারক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হতে পারে বলে আশাবাদী।


আপনি হতে পারেন মডেল একটি ইউনিয়নের গর্বিত নাগরিক,আবার বলছি আপনার আমার সঠিক সিদ্ধান্ত যুগ সচেতনতাই বদলে যেতে পারে সমাজের উন্নয়ন চিত্র।


#বিঃদ্রঃ কলামটিতে স্রেফ দেশ ও সমাজ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দেখুন সংবিধান সমাচার

পরিবেশের দোহাই দিয়ে আর কতদিন বন্ধ রাখবেন পাথর কোয়ারী জানতে চায় জনগণ

শান্তির খুঁজে কোথায় যাব?